মধুবন চক্রবর্তীর কবিতা
অযৌক্তিক
মধুবন চক্রবর্তী
❑
তোমার শরীরের ভেতরে একটা ড্রিম প্রজেক্ট নিয়ে প্রবেশ করলাম। দেখলাম স্বপ্নগুলো রুক্ষ নদীতে মৃত মাছ। ঊর্বর জমিতে আলোকিত সম্ভাবনাময় ফসল গিলে খাচ্ছে কামগন্ধে ভেজা কোনো উগ্র দুপুর। আমার রচিত নদীতে আসছেনা আর পরিযায়ী পাখির দল। মেঘদূত ভেবে ঢুকেছিলাম তোমার আষাঢ় সন্ধ্যায়। দেখলাম তোমার বৃষ্টির সাথে মিশেছে আমার বিষণ্ণ রক্তের বিষ। তোমার উল্লেখযোগ্য প্রেমের ছান্দিক অনুরণন বিস্মৃত আমার কান্নার রঙ। তোমার ড্রিমপ্রজেক্টে এখন আকাশ ছোঁয়া তিন হাজার স্কয়ার ফিট উঁকি মারছে।
বিটোফেনের সুর
মধুবন চক্রবর্তী
❑
বিকেলের হলুদ পাখির মতো বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে সময়। ঠোঁটে ঠোঁট রাখার মতই উষ্ণ ভালোবাসা মেখে নিয়ে দাড়িয়েছে। মুখোমুখি সন্ধ্যায় বনলতা সেন। সন্ধ্যার ডাকঘরে আজও কেউ অপেক্ষায় নিয়ন আলোয় নীলখাম নিয়ে। মুখোমুখি বসবার এক দুরন্ত সময়। এখনও নিভে যাওয়া আলোয় সময় যেনো বিটোফেনের সুর। তারপর তো গলে খসে পড়বে রাতের স্বপ্নগুলো আবার। মহামারীর ইস্পাত নগরী।
কী চাও
মধুবন চক্রবর্তী
❑
কী চাও আমার কাছে? গভীরতা। আমি তো গভীর জলের মৎস্য পুরুষ। ডুব দেবো ওই জলে। মৎসকন্যা হবো। আমার অনেক সখি। তবে রাধা হবো। কৃষ্ণপ্রেমে মরবো। আমি তোমার সেই আকাশ নই । আকাশ তো চাইনি। চেয়েছি আকাশের নাভিতে জমে থাকা ওই লাল সূর্যটা। বারবার ফোন টা বাজতেই থাকে। এত কি কথা তোমার, কথার শরীরে ডুবে?
বসন্ত ভ্যাকসিন
মধুবন চক্রবর্তী
❑
তোমার সংসারমুখী গন্তব্যে ঢুকে পড়েছে অবুঝ চঞ্চল এক হলুদ পতঙ্গ। পথের পাঠ নিতে নিতে একদম তোমার গন্তব্যের ভেতর; এটাও আর একটা গন্তব্যে। ইট কাঠ সিমেন্টের ঘর পেরিয়ে মেঘ ভেজা বিকেলের অনুরাগ মাখা । সেখানে দাঁড়িয়ে এলিগ্যান্ট হলুদ বসন্ত। তুমিও ঢুকে পড়েছ সেখানে পরাগজাত গন্ধ নিয়ে। অতঃপর রাতের অভিমানের কাছে সোহাগের এথিক্স শেখা। সারাদিন কাজের পর তুমিও সূর্যমুখী শাড়ির আঁচলে। বারান্দার গ্রীলে অপেক্ষায় থাকে সংসার। ভেজা গামছা। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে ইলিশগন্ধ। তোমার সংসারমুখী মন তবু বাইরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সিম্ফনি দেখে। পতঙ্গটা উড়ছে বসছে তোমার ল্যাপটপে। তোমার আঙ্গুলের নীলাভ নীলায়। ঠোঁটের ডগায়। শুনলাম পতঙ্গ থেকে মহামারী এসেছে হলুদ বাড়িতে। বসন্তের কোনো টিকা নেওয়া ছিল না তোমার। ততদিনে তোমার শরীরে হলুদ ভাইরাস।
মধুবন চক্রবর্তী
❑
তোমার শরীরের ভেতরে একটা ড্রিম প্রজেক্ট নিয়ে প্রবেশ করলাম। দেখলাম স্বপ্নগুলো রুক্ষ নদীতে মৃত মাছ। ঊর্বর জমিতে আলোকিত সম্ভাবনাময় ফসল গিলে খাচ্ছে কামগন্ধে ভেজা কোনো উগ্র দুপুর। আমার রচিত নদীতে আসছেনা আর পরিযায়ী পাখির দল। মেঘদূত ভেবে ঢুকেছিলাম তোমার আষাঢ় সন্ধ্যায়। দেখলাম তোমার বৃষ্টির সাথে মিশেছে আমার বিষণ্ণ রক্তের বিষ। তোমার উল্লেখযোগ্য প্রেমের ছান্দিক অনুরণন বিস্মৃত আমার কান্নার রঙ। তোমার ড্রিমপ্রজেক্টে এখন আকাশ ছোঁয়া তিন হাজার স্কয়ার ফিট উঁকি মারছে।
বিটোফেনের সুর
মধুবন চক্রবর্তী
❑
বিকেলের হলুদ পাখির মতো বারান্দায় এসে দাঁড়িয়েছে সময়। ঠোঁটে ঠোঁট রাখার মতই উষ্ণ ভালোবাসা মেখে নিয়ে দাড়িয়েছে। মুখোমুখি সন্ধ্যায় বনলতা সেন। সন্ধ্যার ডাকঘরে আজও কেউ অপেক্ষায় নিয়ন আলোয় নীলখাম নিয়ে। মুখোমুখি বসবার এক দুরন্ত সময়। এখনও নিভে যাওয়া আলোয় সময় যেনো বিটোফেনের সুর। তারপর তো গলে খসে পড়বে রাতের স্বপ্নগুলো আবার। মহামারীর ইস্পাত নগরী।
কী চাও
মধুবন চক্রবর্তী
❑
কী চাও আমার কাছে? গভীরতা। আমি তো গভীর জলের মৎস্য পুরুষ। ডুব দেবো ওই জলে। মৎসকন্যা হবো। আমার অনেক সখি। তবে রাধা হবো। কৃষ্ণপ্রেমে মরবো। আমি তোমার সেই আকাশ নই । আকাশ তো চাইনি। চেয়েছি আকাশের নাভিতে জমে থাকা ওই লাল সূর্যটা। বারবার ফোন টা বাজতেই থাকে। এত কি কথা তোমার, কথার শরীরে ডুবে?
বসন্ত ভ্যাকসিন
মধুবন চক্রবর্তী
❑
তোমার সংসারমুখী গন্তব্যে ঢুকে পড়েছে অবুঝ চঞ্চল এক হলুদ পতঙ্গ। পথের পাঠ নিতে নিতে একদম তোমার গন্তব্যের ভেতর; এটাও আর একটা গন্তব্যে। ইট কাঠ সিমেন্টের ঘর পেরিয়ে মেঘ ভেজা বিকেলের অনুরাগ মাখা । সেখানে দাঁড়িয়ে এলিগ্যান্ট হলুদ বসন্ত। তুমিও ঢুকে পড়েছ সেখানে পরাগজাত গন্ধ নিয়ে। অতঃপর রাতের অভিমানের কাছে সোহাগের এথিক্স শেখা। সারাদিন কাজের পর তুমিও সূর্যমুখী শাড়ির আঁচলে। বারান্দার গ্রীলে অপেক্ষায় থাকে সংসার। ভেজা গামছা। রান্নাঘর থেকে ভেসে আসে ইলিশগন্ধ। তোমার সংসারমুখী মন তবু বাইরে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টির সিম্ফনি দেখে। পতঙ্গটা উড়ছে বসছে তোমার ল্যাপটপে। তোমার আঙ্গুলের নীলাভ নীলায়। ঠোঁটের ডগায়। শুনলাম পতঙ্গ থেকে মহামারী এসেছে হলুদ বাড়িতে। বসন্তের কোনো টিকা নেওয়া ছিল না তোমার। ততদিনে তোমার শরীরে হলুদ ভাইরাস।
সাহিত্য সম্পাদক : মেহেদী হাসান শোয়েব
No comments
মন্তব্য করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।